
মো: মিজানুর রহমান (ডোফুরা) ও মোঃ মামুনুর রহমান (জুয়েল), দিনাজপুর।।
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নবরূপীর ৬২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং বার্ষিক নৈশ ভোজন ২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়ানুষ্ঠান, মধ্যাহ্ন ও নৈশ ভোজ, ক্যাম্প ফায়ার, আতশবাজি এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
০২ ও ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় প্রথম দিনে দিনাজপুর ইনস্টিটিউটে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা ও অতিথিদের নিয়ে বিকাল ৪ ঘটিকায় দিনাজপুর ইনিস্টিটিউট প্রাঙ্গন থেকে বাসযোগে যাত্রা শুরু করে কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুরে বেসরকারি সংস্থা সিডিএ এর বিশাল ভেনুতে উপস্থিত হয়ে সকলকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শীতকালীন পিঠাপুলি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
আপ্যায়ন শেষে আলোচনা সভার শুরুতে প্রথমে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। নবরূপীর সভাপতি আব্দুস সামাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবরূপীর সাধারণ সম্পাদক সিফাত-ই-জাহান সিউ। তিনি সংগঠনের বাৎসরিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি তুলে ধরেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নবরূপীর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক, অধ্যাপক ও গবেষক কবি ড. মাসুদুল হক, চিত্রশিল্পী রাজিউদ্দিন চৌধুরী ডাব্লিউ, নাট্যকার তারিকুজ্জামান তারেক, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান নিউ, নবরূপীর আজীবন সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোঃ সহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন ও নবরূপীর সভাপতি মোঃ আব্দুস সামাদ ।
আলোচনা সভার শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য গান ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কুইজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন নবরূপীর নির্বাহী সদস্য সৈয়দ সফিকুর রহমান পিন্টু। সাধারণ সভার উপস্থাপনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন নবরূপীর মানস কুমার ভট্টাচার্য। এরপরে রাতে খাবার ও বারবিকিউ এর আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মত।
দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিনে সকালের আপ্যায়ন শেষে সব বয়সের অংশগ্রহণে মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও রাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরের খাবার শেষে ঐতিহাসিক নয়াবাদ মসজিদ ও কান্তজিউ মন্দির পরিদর্শন শেষে সকলেই নবরুপী উদ্দেশ্যে স্থান ত্যাগ করেন।
আলোচনার পূর্বে সকলকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিরাট কেক কাটা হয়।
উল্লেখ্য, দু’দিন ব্যাপী আলোচনা সভা ও বনভোজনের আয়োজনটি ছিল অত্যন্ত আনন্দঘন, মনোমুগ্ধকর পরিবেশের মধ্যে, যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।