১০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

যে মেলায় নিজের পছন্দের জীবন সঙ্গী খুঁজে নেন তরুণ-তরুণীরা

শেখ সাইদুল আলম সাজু, দিনাজপুরঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ১৫ অক্টোবর ২০২৪ (মঙ্গলবার) শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় আর উৎসবমুখর পরিবেশে, দিনব্যাপী দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্যতিক্রমী মেলা আয়োজন হয়েছে। যা সবার কাছে বাসিয়া হাটি নামে পরিচিত। এ মেলার বিশেষ আকর্ষণ হলো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা মেলায় পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন।

এখানে পাত্র বা পাত্রী পছন্দ হলে পরিবারের মাধ্যমে ধুমধামে বিয়ে দেওয়া হয়। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী লোকেরা ছুটে আসেন।

রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, রাজশাহী ও বগুড়া জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের এ মেলায় সবচেয়ে উপস্থিত লক্ষ্য করা যায়। প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে মেলার আয়োজনও করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আত্মীয়-স্বজনদের মিলনমেলা হিসেবে মেলাটি সাধারণত দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন বসে।

মেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সব বয়সী নারী-পুরুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাহারি সব কাচের চুড়ি, ফিতা ও মাটির তৈরি খেলনা, গৃহকাজের হাড়ি পাতিল-সহ বিভিন্ন খাবারের দোকান সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা।

মেলায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়াও হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও ছিল।

এ ছাড়া মেলার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।

এইদিনে সেখানে চলতে থাকে বাজনার তালে তালে আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী নাচ। একপাশে নাচ গানের আসর আর অন্য পাশে চলে তরুণ-তরুণীদের পছন্দের জীবনসঙ্গী বাছাই।

কোনো প্রকার প্রচার ছাড়াই হাজার হাজার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ উপস্থিত হয়।

জনপ্রিয়

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর বদলিজনিত বিদায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

যে মেলায় নিজের পছন্দের জীবন সঙ্গী খুঁজে নেন তরুণ-তরুণীরা

প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

শেখ সাইদুল আলম সাজু, দিনাজপুরঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ১৫ অক্টোবর ২০২৪ (মঙ্গলবার) শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় আর উৎসবমুখর পরিবেশে, দিনব্যাপী দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ব্যতিক্রমী মেলা আয়োজন হয়েছে। যা সবার কাছে বাসিয়া হাটি নামে পরিচিত। এ মেলার বিশেষ আকর্ষণ হলো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা মেলায় পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন।

এখানে পাত্র বা পাত্রী পছন্দ হলে পরিবারের মাধ্যমে ধুমধামে বিয়ে দেওয়া হয়। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী লোকেরা ছুটে আসেন।

রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, রাজশাহী ও বগুড়া জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের এ মেলায় সবচেয়ে উপস্থিত লক্ষ্য করা যায়। প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে মেলার আয়োজনও করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আত্মীয়-স্বজনদের মিলনমেলা হিসেবে মেলাটি সাধারণত দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন বসে।

মেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সব বয়সী নারী-পুরুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাহারি সব কাচের চুড়ি, ফিতা ও মাটির তৈরি খেলনা, গৃহকাজের হাড়ি পাতিল-সহ বিভিন্ন খাবারের দোকান সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা।

মেলায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়াও হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও ছিল।

এ ছাড়া মেলার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।

এইদিনে সেখানে চলতে থাকে বাজনার তালে তালে আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী নাচ। একপাশে নাচ গানের আসর আর অন্য পাশে চলে তরুণ-তরুণীদের পছন্দের জীবনসঙ্গী বাছাই।

কোনো প্রকার প্রচার ছাড়াই হাজার হাজার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ উপস্থিত হয়।